মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বাবুগঞ্জে চন্দ্রদ্বীপ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্র পরিক্ষায় অনিয়মিতদের(২০১৮) (ক্যাজুয়াল) প্রশ্নপত্রে ৩০/৩৫ জন নিয়মিত(২০১৯) পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এসব পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আলোচিত বিষয়ে পুনঃরায় পরীক্ষা গ্রহণসহ দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী কাকলী(রোল-২৫৫৯৭৩),কলি(২৫৫৯৭৪),লামিয়া(২৫৫৯৮১)সুমাইয়া(২৫৫৯৭০) ও মিতু আক্তার (২৫৫৯৭৬) এর সাথে কথা বলে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
জানা যায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের নাম ছিল ‘টগর’। অন্যদিকে, অনিয়মিতদের প্রশ্নপত্রের নাম ছিল “কামিনী”। ২ফেব্রুয়ারী পরীক্ষার দিন বাবুগঞ্জের চন্দ্রদ্বীপ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দে ৩০/৩৫ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীকে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ওই পরীক্ষার্থীরা কিছু না বুঝে প্রশ্ন কঠিন হয়েছে মনে করে পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
কিন্তু বাড়ি ফিরে অন্য কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের সাথে প্রশ্নপত্র মেলালে প্রশ্নপত্রে গড়মিল ধরা পড়ে। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ করে পরীক্ষার্থীরা জানতে পারে, তারা অনিয়মিতদের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ায় তাদের প্রস্তুতির অধিকাংশই কমন পরেনি। ফলে প্রত্যাশিত ফলাফল সম্ভব হবে না। যা বাকি জীবনে যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে আলোচিত পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব প্রনব কুমার বেপারি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এরিয়ে গিয়ে বলেন,ওই কেন্দ্রে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথীকা সরকার বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি, আমার চেয়ে কেন্দ্র সচিব ভালো বলতে পারবে।
Leave a Reply